৩ নভেম্বর ফসল অবশিষ্টাংশ পোড়ানো প্রতিরোধী দিবস

আজ শুক্রবার ৩ নভেম্বর ফসল অবশিষ্টাংশ পোড়ানো প্রতিরোধী দিবস।বেশ কয়েক বছর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দিনটি পালন করা হচ্ছে।মূলত কৃষকেরা তাদের ধান কাটার পর গাছের অবশিষ্টাংশ বা যাকে প্রচলিত ভাষায় নাড়া পোড়ানো হয়।বহু কৃষক তাদের মাঠেই তাদের ধান গাছের নাড়া পোড়ান।কৃষকদের ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে, নাড়া পোড়ালে হবে জমি উর্বর।প্রকৃতপক্ষে তা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।


একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ হয়,পাশাপাশি জমির উপকারী জীবানু আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়।ফলত ক্ষতির সম্নুখীন হন কৃষক পাশাপাশি দূষনের জেরে জীবজগতকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।আর এই কারনের উদ্বিগ্ন কৃষিবিজ্ঞানীরা

সমস্যার সমাধান করে সচেতনতা বাড়াতে এই নাড়া পোড়ানো বন্ধের জন্য কৃষিদপ্তর মাঠে গিয়ে কিংবা বিভিন্ন মিটিং এর মাধ্যমে নাড়া পোড়ানোর ক্ষতিকর দিকগুলি বোঝানোর চেষ্টা করছেন।আর ৩ নভেম্বর এই দিনটি সর্বত্র নাড়া পোড়ানো বন্ধের আবেদন জানিয়ে ফসল অবশিষ্টাংশ পোড়ানো প্রতিরোধী দিবস পালন করা হয়।

বিভিন্ন জায়গার মতো পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতিটি ব্লক কৃষিদপ্তরে কৃষকদের নিয়ে এই দিনটি পালন করা হয়।লক্ষ্য একটাই বন্ধ হোক নাড়া পোড়ানো।আজ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ২ নম্বর ব্লকের শিলামপুর সমবায় সমিতির সবাকক্ষে দিনটি পালিত হয়।এলাকায় ১০০ জন কৃসকদের নিয়ে সচেতনতা সভা হয়,পরে একটি পদযাত্রা হয়।উপস্থিত ছিলোন জেলার কৃষি আধিকারিক সুমিত রায়,এগরা মহকুমার কৃষি আধিকারিক শ্যামল শীট,এগরা ২ ব্লকের কৃষি আধিকারিক পঞ্চানন ঘোষ সহ একাধিক বিশিষ্টজনেরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন