সাংবাদিকদের সাথে খোশ মেজাজে মমতা,উদ্বোধন ভ্রমনের বই

 




”আপনাদের সবাইকে নববৈশাখের শুভনন্দন জানাচ্ছি। এমনিতে সকলে বলেন শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন। কিন্তু নতুন শব্দ তো আনতে হবে। তাই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন মিলিয়ে বললাম, শুভনন্দন।” পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে তৃতীয় দিন বুধবার  সমুদ্র শহর দিঘায় রীতিমত  খোশ মেজাজে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে।


নতুন দিঘায় অমরাবতী পার্ক লাগোয়া দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পুরোনো অফিসে তৈরি হওয়া পূর্ব মেদিনীপুর প্রেস ক্লাবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর প্রায় দুই ঘন্টা ধরে জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকি আড্ডায় মেতে ওঠেন তিনি।তবে শুধু আড্ডা নয়,নিজের লেখা ভ্রমনের বই উদ্বোধন করেন তিনি। 


নবনির্মিত ক্লাবের প্রশংসা করে বলেন, ”এই ক্লাবটি খুব সুন্দর হয়েছে। কলকাতার প্রেস ক্লাব এত সুন্দর নয়। ওখানে আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আর্মি ওখানে কোনও কংক্রিটের নির্মাণ করতে দেয় না।” এরপরই তিনি বলেন, ”আপনাদের সবাইকে নববৈশাখের শুভনন্দন জানাই। সকলে বলেন শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন। কিন্তু বাংলায় নতুন শব্দ তো আনতে হবে। তাই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন মিলিয়ে শুভনন্দন হবে না কেন? শুভেচ্ছা এবং নন্দন দুটোই আছে। নান্দনিক বলতে পারেন।আমি তাই এটা বললাম আজ।”


এদিন ভ্রমণ বিষয়ে নিজের লেখা 'ওয়েস্ট বেঙ্গল মাই এল ডোরাডো' বই প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বইটি ছেপেছে দে'জ পাবলিশার্স।সেই সাথে জেলার তিন সাংবাদিক ও এক পুলিশ আধিকারীকের কবিতার বইয়ের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।


প্রেস ক্লাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে, জেলা তথ্য ও সাংষ্কৃতিক আধিকারিক মহুয়া মল্লিক- সহ অন্যান্যরা। 


সাংবাদিকদের সঙ্গে আন্তরিক আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। একেবারে অন্য চেহেরায় দেখা যায় তাঁকে। প্রেস ক্লাবের ভিতরে গান, আবৃত্তি, হরবলা পরিবেশন করেন সাংবাদিকরা। মুখ্যমন্ত্রীও পাঠ করে শোনান স্বরচিত কয়েকটি কবিতা।জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাংবাদিকদের সমন্বয় রাখার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেন, 'সংবাদমাধ্যম হলেও আপনারা সরকারের একটা অংশ। আমাদের বৃহত্তর পরিবার।সূত্র থেকে যে সব খবর পান তা আপনারা জানালে তবেই প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে। মানুষের না পাওয়ার ক্ষোভকে প্রশমিত করা সম্ভব হয়।'

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন