আদালত চত্বরে মানুষ ঠোকাচ্ছেন স্ট্যাম কেনাবেচায়

স্ট্যাম কেনাবেচায় দেদার মানুষ ঠকানো চলছে
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালত চত্বরের মধ্যে।তমলুকে আদালত চত্বরের মধ্যেই ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপার বিক্রী হচ্ছে তিরিশ টাকাতে, কুড়ি টাকার স্ট্যাম্প পেপার বিক্রী হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়,আবার ৫০ টাকার স্ট্যাম্প পেপার নেওয়া হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে প্রশাসনের সামনেই স্ট্যাম্প পেপার বিক্রীতে বিভিন্ন কাজে আসা সাধারণ মানুষদের থেকে এই ভাবে ঠকিয়ে নেওয়া হচ্ছে বেশি টাকা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতের আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তথা তমলুক বিধানসভার প্রাক্তন সিপি আই বিধায়ক অশোক দিন্দার অভিযোগ। সরকারি দফতরে গাফিলতির সুযোগ নিয়ে জেলা আদালতের মধ্যে এই দুর্নীতি চলছে।
জেলা প্রশাসনের তরফে এখনই হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।আদালত চত্বরের মধ্যেই প্রকাশ্যে এই চুরি বন্ধ হওয়া উচিত।অভিযোগ করেন সাধারণ মানুষেররা অসহায় হয়ে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে এই স্ট্যাম্প পেপার।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালত চত্বরের এক স্ট্যাম্প পেপার ভেন্ডারে বেশি দামে নেওয়া হচ্ছে স্ট্যাম্প পেপার। যদিও ভেন্ডারে দ্বায়িত্বে থাকা সেক মান্নান বেশি দাম নেওয়াতে অস্বীকার করে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে মধ্যে থাকা আরো এক স্ট্যাম্প পেপার ভেন্ডার শম্ভুনাথ বিশ্বাস বলে, সরকারের তরফে স্ট্যাম্প পেপার সাপ্লাই নেই,তাই স্ট্যাম্প পেপার পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে কাছে থাকা এক স্ট্যাম্প পেপার ভেন্ডার সোনালী মন্ডলের বিরুদ্ধে বেশি দামে স্ট্যাম্প পেপার বিক্রি অভিযোগ করলে,তিনি সামনে কিছু বলেতে চাননি, কিন্তু বাড়ির দোতলা থেকে জানান, অনেক লেখালেখি করতে হয় তাই তিনি বেশি দামে স্ট্যাম্প পেপার বিক্রি করে।

সরকারি নিয়মে ভেন্ডারের যারা লাইসেন্স ভূক্ত তারা ৪.৫০ শতাংশ হিসেবে কমিশন পান। কিন্তু সরকারের তরফে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও এই দুর্নীতি ধরার বিষয়ে কোন উদ্যোগ দেখা যাইনি বলে অভিযোগ করলেন তমলুক বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক তথা আইনজীবী অশোক দিন্দা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন