পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত শহর চাঁদপুরের সীবীচে পাথরের বোল্ডারে যুবতীর অর্ধ নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বড় সাফল্য পেল পুলিশ। যুবতী খুনের মাস্টারমাইন্ডকে কেরালা থেকে গ্রেফতার করলো মান্দারমনি থানার পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম তাপস জানা। শনিবার তাকে কাঁথি আদালতে আদালতের তোলা হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে বোতল কুড়ানি এবং স্থানীয় মানুষজন দেখতে পায় রামনগর-১ব্লকের তালগাছারী দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর সমুদ্র সৈকতে অর্ধনগ্ন এক যুবতীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে। এই নিয়ে এলাকায় সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্য। সেদিন মন্দারমনি থানার পুলিশ ওই যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। এবং তদন্ত শুরু করে। কয়েকদিন পরে যুবতীর পরিবারের লোকেরা সংবাদ মাধ্যম থেকে খোঁজ পেয়ে মন্দারমনি থানায় এসে যুবতীর মৃতদেহ সনাক্ত করে। যুবতী নদীয়া জেলার তাহেরপুরের বাসিন্দা লাবনী দাশ (২৪)।
পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমেই যুবতীর প্রেমিক অর্থাৎ ভগ্নিপতির ভাই প্রলয় দাস এবং তার বন্ধু মনোজ কুমার গোস্বামীকে গ্রেফতার করে। সেই থেকে পুলিশ জানতে পারে যে এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রামনগর দুই ব্লকের মন্দারমনি থানার সুটিলাপুর গ্রামের বাসিন্দা তাপস জানা। লাবনীর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই কেরালায় গিয়ে আত্মগোপন করে তাপস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মন্দারমনি থানার তদন্তকারী দল কেরালায় গিয়ে তাপস কে গ্রেফতার করে। তারপরেই উদ্ধার হয় হত্যা রহস্যের চাঞ্চল্যকর তথ্য। বেশ কয়েক মাস ধরে লাবনীর সঙ্গে প্রলয়ের দূরত্ব বাড়ছিল। সেই কারণে তিন বন্ধু মিলে তাকে খুন করার পরিকল্পনা করে।
তাপস জানা পেশায় ক্যাপ বাইক চালক। থাকতো দমদমের একটি ভাড়াবাড়িতে। তার পাশের ঘরেই থাকতো প্রলয়। মাঝে মাঝে লাবনী এসে প্রলয়ের এর কাছে থাকতো। দূরত্ব বাড়ায় খুনের পরিকল্পনা করে ব্যারাকপুরে লাবনীকে খুন করে ট্রলি ব্যাগে পুড়ে বাইক চালিয়ে চাঁদপুরে নিয়ে এসে ফেলেছিল। পুলিশ সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে। আরো নতুন কিছু তথ্য পাওয়ার জন্য পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
Tags
অপরাধ