স্ত্রীর পরকীয়া মানতে না পেরে আত্মঘাতি ডাব ব্যাবসায়ী

 





স্ত্রীর সাথে ভগ্নিপতির পরকীয়া সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলো এক যুবক।পেশায় ডাব ব্যাবসায়ী ঈশ্বর ঘোড়ই (৩০) নামের এই যুবক রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময়  বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নেয় বলে জানা গেছে।মৃত যুবকের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার শীতলপুর গ্রামে ।

মৃত ডাব ব্যবসায়ীর বড়দাদা শম্ভু ঘোড়ই জানান , তাদের বাবা-মা কেউ জীবিত নেই। দু'মাস আগে তার ভাই ঈশ্বর ঘোড়ইয়ের স্ত্রী প্রীতিকণা তার ভগ্নিপতি অর্থাৎ বোনের বরের সঙ্গে ভালোবাসা করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। বহু খোঁজাখুঁজির পরে রাধামনির কোন এক জায়গা থেকে তাদের দু'জনকে উদ্ধার করা হয়। গত শনিবার প্রীতিকণা তাঁর স্বামীর বাড়িতে আসে। তাদের ১১ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। 


অভিযোগ বাড়ি ফিরলেও অশান্তি চরমে ছিলো।তার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত্রি প্রায় ১২ টার সময় প্রীতিকণা  আবার পালিয়ে যায় ঈশ্বর ঘোড়ই -এর ছোট শ্যালিকার বরের সঙ্গে। সেই মনের দুঃখে আজ সকালে ডাব বিক্রি করে এসে নিজের রুমের সিলিং ফ্যানের হুকে দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন, বড় দাদাশম্ভু ঘোড়ই সহ প্রতিবেশীরা। সকালে যখন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তখন তার নিজের ছেলে বাড়িতে ছিল না। সে এসে যখন দেখে তাঁর বাবা গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা উপস্থিত হয়। 

তড়িঘড়ি করে নন্দকুমার খেজুর বেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আশা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা  মৃত বলে জানান। 

শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাকলি জানা বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটা গন্ডগোল চলছিল। গন্ডগোলের ফলে ঈশ্বরের স্ত্রী পালিয়ে যায়। আর তার জেরে এইরূপ ঘটনা ঘটেছে বপে প্রাথমিক ধারনা।

এই প্রসঙ্গে , নন্দকুমার থানার অফিসার ইন -চার্জ মনোজ ঝা বলেন, মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে এই আত্মহত্যা। তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার জন্য মৃতদেহটিকে পাঠানো হয়েছে।রিপোর্ট হাতে আসার পরেই সবটা জানা যাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন