মোবাইল গেমের নেশায় দুশো জুতার মার নাবালককে

 




মোবাইল গেমের নেশা মারাত্মক আকার ধারন করেছে গ্রামেগঞ্জে।যে কোন শর্তে গেম খেলতে রাজী হয়ে যাচ্ছে ছেলে-মেয়েরা।এমনই এক ভয়ঙ্কর ঘটনার স্বাক্ষী থাকলো পটাশপুর।


জানা গেছে কয়েকজন কিশোর মিলে মোবাইলে গেম খেলছিলো।সেই সময় আরো কিশোর ঘটনাস্থলে হাজির হয় ও খেলতে চায় ।সেই সময় খেলায় শর্ত রাখা হয় খেলায় হেরে গেলে ২০০ জুতোর বাড়ি খেতে হবে ।বন্ধুদের শর্তে রাজী হয়ে যায় নাবালক।


স্বাভাবিক ভাবে খেলায় একটি নাবালক ছেলে খেলায় পরাজিত হয়। শর্ত অনুযায়ী তাকে বাকি বন্ধুরা ১৫০ -২০০ বার জুতোর বাড়ি মারে। এই সময় তাদের মধ্যে কেউ একজন এই ভিডিও করে । ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে নাবালিকটি আর্তনাদ করেছে তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক ‌। কিন্তু কে কার কথা শুনে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায় । যদিও ভিডিওটির সত্যতা আমার যাচাই করিনি। 



বাড়ি ফেরার পর নাবালিক অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়তে থাকে।  প্রথমে আহত নাবালককে এগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে আহত নাবালককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। 


মোবাইল গেম নিয়ে  ঘটনাটা জানার পরে নাবালকের পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানায় যান এবং অভিযুক্ত নাবালকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পটাশপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।  পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।


তবে এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।সেই সাথে মোবাইলের গেম খেলা থেকে কি ভাবে বাচ্চাদের দূরে রাখা যায় সেই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন