নন্দীগ্রামে শহীদ স্মরনেও মুখোমুখি তৃনমূল-বিজেপি।

রবিবার নন্দীগ্রামে শহীদ স্মরণকে ঘিরে রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ছিলো।

এদিন নন্দীগ্রামে তৃণমূলের শহীদ স্মরণসভা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ওদের কোন অধিকার নেই করার, এই আন্দোলনে ওদের কোন অধিকার নেই। এই আন্দোলন নন্দীগ্রামের মানুষের আন্দোলন। এই আন্দোলন যে ছাঁটরা এসেছিল, চোরগুলো এদের মুখের ভাষা শুনলে ব্লিচিং লাইন দিতে ইচ্ছা হবে, এতো নোংরা ভাষায় এদের মুখে। এদের কোন ভূমিকা নেই। এরা পরের বছর আর আসবে না। এই লোকসভা ভোট হয়ে যাওয়ার পরে। এটা শেষ এসেছিল এরা, শেষবারের মতো হচ্ছে।

অন্যদিকে, নন্দীগ্রামে বিজেপির শহীদ স্মরণ সভা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন তৃনমূলের রাজ্য সম্পাদক অ মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।

 নন্দীগ্রামে বিজেপির শহীদ স্মরণ সভা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে কুনাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারীদের কোন অধিকার নেই করার, যারা হার্মাদ, যারা গণহত্যা, জমি দখল, গণধর্ষণ, অত্যাচার যারা করেছিল, তারাই তো আজ শুভেন্দু সঙ্গে বিজেপিতে গিয়ে তারা মালা দিতে যাচ্ছে। যারা কলঙ্কিত করছে আন্দোলনকে, কলঙ্কিত করছে শহীদদের আত্মাকে অসম্মান করছে, ফলে শুভেন্দু কাছে নন্দীগ্রাম টা হচ্ছে পলিটিক্যাল ক্যারিয়ারের মার্কেটিং। আর তৃণমূলের কাছে শহীদদের প্রতি দর্পণ শহীদ স্মৃতির তর্পন। দুটোর তফাৎ, ওর নিজের ক্যারিয়ারের জন্য মার্কেটিং নন্দীগ্রামে। এত মামলা, এত মামলা শুভেন্দু বিরুদ্ধে তো কোন মামলা হয়নি। যারা জমি আন্দোলনের মামলায়, মিথ্যা মামলায় ফেঁসেছিল, ওরা তো এখন জোর করে সেই মামলা রি ওপেন করিয়ে, পুরনো মামলা রি ওপেন করিয়ে নন্দীগ্রামের মানুষকে আরও বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। ফলে ওর সঙ্গে নন্দীগ্রামের মানুষের কোন নাড়ীর সম্পর্ক নেই।
শহীদ স্মরণ সভা ঘিরে দু পক্ষই একে অপরকে নিশানা করতে ছাড়েনি।

গত ২০০৭ সালের ৭ নভেম্বর ভোরে জমি আন্দোলনে তিনজন শহিদ হন। ভরত মণ্ডল, শেখ সেলিম, বিশ্বজিৎ মণ্ডলদের স্মৃতির উদ্দেশে শহিদ তর্পণ করা হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে শহিদ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। ভাঙাবেড়ায় ফলকে মাল্যদান করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন শেখ সুফিয়ান-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন