ইন্দ্রজিৎ আইচ :- কাশ্মীর মানেই যেন ভারতের ভূস্বর্গ, যেখানে রয়েছে কিছুটা দূরে জম্মু, ডাল লেক, গুলমার্গ থেকে শ্রীনগর এমন কি কারগিল উপত্যকা। সারা বছর ভারতের ২৪ লক্ষ্য মানুষ এই কাশ্মীর বেড়াতে আসে। কিন্তু তার মধ্যে ৪৫ শতাংশ মানুষ এই বাংলা থেকে যায়।
তাই কোভিড এর পর ট্রাভেল এর ব্যাবসা বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। হোটেল হিন্দুস্তানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাভেলস এজেন্ড সোসাইটি অফ কাশ্মীর ( টাস্ক) এর প্রধান ওয়াসিম আহমেদ গুসানি জানালেন কেউ কেউ ভাবেন জম্মু কাশ্মীর মানেই ভারতের সাথে সীমানা নিয়ে পাকিস্তান এর সাথে যুদ্ধ , কারফিউ এর গোলাগুলি। এটা মোটেই নয়। বিগত কয়েক বছরে পরিবেশ পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। কাশ্মীরে ভালো লোক সমাগম হচ্ছে, প্রচুর ট্রাভেলার আসছেন ফ্যামিলি নিয়ে।
অনেক হোটেল, অনেক ট্রুর এজেন্সি হয়েছে। বহু মানুষের চাকরি হয়েছে। এই ব্যাবসা আমরা আরো বাড়াতে চাই। তাই আজ বাংলার সব ট্রাভেল এজেন্ড দের নিয়ে এই সন্মেলন।
এই সন্মেলনের এর এক কর্মকর্তা মকসুদ বিরিয়ারি জানালেন ১৯৬৭ সালে কাশ্মীর ট্রাভেলস এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। এতগুলো বছর পেরিয়ে আজ আমাদের ব্যাবসা আরো বেড়েছে।
এই সংঘটনের সম্পাদক শওকত আলী জানালেন আমরা এই বছর থেকে জম্মু কাশ্মীর বেড়াতে যাবার জন্যে নতুন প্যাকেজ চালু করেছি। যেখানে চল্লিশ শতাংশ ছাড় দেবো। আমাদের এই বাংলায় বহু ট্রাভেলস ব্যাবসায়ী খুব উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে আসছে। ট্রেন, প্লেন এর টিকিট থেকে গাড়ি, হোটেল রুম থেকে খাওয়া, ঘোরা থেকে শপিং এমন ট্রাভেল গাইড থেকে মেডিক্যাল পরিষেবা সব পাওয়া যাবে খুব সহজেই জম্মু ও কাশ্মীরে।
আমরা সকলেই আশাবাদী যে এই বাংলার ৪৫০ জন এজেন্ড কাশ্মীর বেড়াতে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে নতুন পথের দিশা পাবেন এবং তাদের ব্যাবসা আরো বৃদ্ধি পাবে দিনে দিনে। এখন কাশ্মীর এ খুব ভালো রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কাশ্মীর থেকে শ্রীনগর পৌঁছতে লাগবে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। আরো দারুন ভাবে এই কাশ্মীর কে সাজানো হয়েছে। ওখানকার গভর্মেন্ট খুব সহযোগিতা করছে ট্রাভেলস ও ট্রুর এর ব্যাবসার ক্ষেত্রে।সারা পৃথিবী থেকে ১৩০ মিলিয়ন মানুষ সারা বছরে জম্মু কাশ্মীর শ্রীনগর ভ্রমন করেন।
Tags
ভ্রমণ