আভা মাইতি স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান





স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি ও শতবর্ষের আলোকে - আভা মাইতি স্মৃতি স্মারক সমিতি-র উদ্যোগে সুভাষপল্লী কুঞ্জবিহারী বিদ্যাভবনে আভা মাইতি স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান হয় ।


 অনুষ্ঠানে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন বিদ্যাভবনের প্রধান শিক্ষক বিধানচন্দ্র রাউত এবং মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বপন কুমার মন্ডল ও সমরেশ সুবোধ পড়িয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অনিন্দিতা কামিলা ও স্বপন কুমার মাইতি। 


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাভবনের শিক্ষক গৌতম কুমার মাইতি, শান্তি স্বরূপ হালদার, সুমন্ত দাস, বাণী রানা মাইতি, অর্পিতা মাইতি, ইন্দ্রানী মাইতি, মিলন জানা, সোমা দাস মাইতি ও কুনাল নায়ক, কৃষকরত্ন জলধর নায়ক এবং বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রগণ৷ 


কৌতূহলী ছাত্রদের উপস্থিতিতে অতিথিগণ মহীয়সী বরেণ্যা আভা মাইতির ছাত্রজীবন, কর্মজীবন, সংগ্রামী জীবন, রাজনৈতিক জীবন, তাঁর আদর্শ - নারী কল্যাণ, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন তথা সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন৷ তাঁর মাতা স্বাধীনতা অহল্যাদেবী ও পিতা নিকুঞ্জবিহারী মাইতি (প.বঙ্গের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী)-এর প্রসঙ্গে আলোচনায় তাঁদের সংগ্রামী সাথী জরারনগর-এর পঞ্চানন প্রধান, জাতীয় শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্র প্রামাণিক, সুধীরচন্দ্র পড়িয়া, রাখালচন্দ্র পড়িয়া, ধরণীধর পড়িয়া, ভুবনেশ্বর প্রামাণিক, ভূষণচন্দ্র পাত্র, মোহাটী-র শশীভূষণ ভৌমিক, পূর্ণেন্দু ভৌমিক প্রভৃতি বহু পুণ্যশ্লোক ব্যক্তিদিগের কথা আলোচিত হয়৷ 


১৯৩৮ এর ১২এপ্রিল সুভাষপল্লীতে নেতাজীর আগমন, ১৯৪২ এর ভারতছাড়ো আন্দোলন, কৃষ্ণনগরে ১৯৪৬-এ মহাত্মা গান্ধীর আগমন এবং অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বহু শতশত শহীদের কথাও আলোচিত হয়৷ আলোচনা শেষে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সভাপতি মহোদয়৷

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন