কাঁথিতে শুরু হল সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান

 



আগামী প্রজন্মকে সুস্বাস্থ্যবান-নীরোগ হিসাবে গড়ে তুলতে কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান কর্মসূচীর সূচনা হল ।

ডিস্ট্রিক্ট হেলথ এন্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সমিতি, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা এবং কাঁথি পৌরসভা স্বাস্থ্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পৌর এলাকার সমস্ত গর্ভবতী মায়েদের জন্যে সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের কাছে  কিশোর নগর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র কাঁথি পৌর হাসপাতালে  প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান প্রকল্পের বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন হরিসাধন দাস অধিকারী।অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন কাঁথি পৌরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক ডাঃ অনুতোষ পট্টনায়ক, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রমোদ প্রামানিক,ডাঃ প্রিয়তোষ জানা,  পিএইচ এন মিতালী ঘোড়াই ,প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সুস্মিত মিশ্র , দীপক কুমার মাইতি সৌমেন দাস প্রমূখ।উল্লেখ এদিন উদ্বোধন হওয়া এই শিবির প্রতি ইংরেজি মাসের ৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।





কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন হরিসাধন দাস অধিকারী বলেন রাজ্যের বিগত বাম সরকারের আমলে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার বেহাল দশার মুক্তি ঘটেছে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসার পরে ।বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।কারন রাজ্যের বাসিন্দাদের সুস্থ্য-নীরোগ শরীর সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নতির অন্যতম মাপকাঠি।শিশুরা আবার আগামীর কান্ডারী।তাই রাজনীতির রং সরিয়ে রেখে সকলের কাছে এই পরিষেবাকে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কাঁথি পৌরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক ডাঃ অনুতোষ পট্টনায়ক জানিয়েছেন প্রতিমাসের ৯ তারিখ কিশোর নগর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র কাঁথি পৌর হাসপাতালে  এই পরিষেবা প্রদান করা হবে । যদি কোন মাসে ৯ তারিখ রবিবার বা ছুটির দিন হয় তবে ঠিক তারপরের দিন এই সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান শিবির অনুষ্ঠিত হবে ।তিনি বলেন

এই সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান শিবিরে কাঁথি পৌর এলাকার সমস্ত গর্ভবতী মায়েদের রেজিস্ট্রেশন, চিকিৎসক দ্বারা রুটিন চেকআপ, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সব রকম ওষুধ এবং পরামর্শ দেওয়া হবে ।

     স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রমোদ প্রামানিক বলেন   সরকারি সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মাদার এন্ড চাইল্ড প্রটেকশন বা এমসিপি কার্ড এখান থেকে দেওয়া হবে। যদি ইতিমধ্যেই এমসিপি কার্ড হয়ে গিয়ে থাকে তবে শিবিরের দিন গুলিতে মায়েরা অতি অবশ্যই কার্ডটি সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন ।

যেসব গর্ভবতী মায়েরা বেসরকারিভাবে প্রাইভেটে ডাক্তারবাবুদের কাছে দেখান তারা অতি অবশ্যই এই শিবিরে এসে তাদের নাম সরকারিভাবে নথিভূক্ত করবেন এবং এমসিপি কার্ড করাবেন ।না হলে ভবিষ্যতে সমস্ত রকমের সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।

মারন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কালে কাঁথি পৌরসভা যে ভাবে গর্ভবতী মা ও আগামী প্রজন্মকে সুরক্ষা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিবিরে হাজির গর্ভবতী মায়েরা।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন